ঢাকার সাভারে বাঁশঝাড় থেকে উদ্ধার হওয়া মৃত তরুণীর পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
তারা জানিয়েছে, মৃত তরুণীর নাম লাখী আক্তার। তিনি আশুলিয়া থানাধীন শিমুলিয়া ইউনিয়নের কোনা পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
নিহতের খালাতো বোন রহিমা বেগম বলেন, চার-পাঁচ বছর আগে সুবন্দি গ্রামের জুয়েলের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার বোন লাখীর বিয়ে হয়। এরপর থেকেই জুয়েল তার বোনকে নানাভাবে নির্যাতন করতো। মূলত জুয়েল বখাটে প্রকৃতির ও মাদকসেবী। এ কারণেই এক বছর আগে পারিবারিকভাবে লাখীকে জুয়েলের কাছ থেকে ছাড়িয়ে আনা হয়। পরে গত রমজানে পাশের গ্রাম চাঙ্গিদিয়া এলাকার সিঙ্গাপুর প্রবাসী ফিরোজের সঙ্গে পারিবারিকভাবে মুঠোফোনে বিয়ে হয়।
তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন আগে লাখীর বাবা তাকে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন। এরপর সোমবার বিকেলে তিনি লাখীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা জানতে পারেন। কিন্তু কোথায় গেছেন সেটা কেউ বলতে পারে না।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত রায় বুধবার সন্ধ্যার দিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি নিউজবাংলাকে জানান, তরুণীর পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। তবে এখনও তার মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। আমরা তদন্ত করছি।
এর আগে সকালে আশুলিয়ার সুবন্দি এলাকায় সামছুল উদ্দিন ডাক্তারের মালিকানাধীন বাঁশঝাড়ের ভেতর থেকে তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, স্থানীয় লোকজন বুধবার সকালে মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে তাদের খবর দেন। ওই এলাকার বাসিন্দা বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কেউই তার পরিচয় জানাতে পারেননি।
পরে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে বুধবার রাতে শিমুলিয়া ইউনিয়নের কোনা পাড়া গ্রামে লাখীর বাড়িতে গিয়ে তার বাবা, মা ও ভাইকে পাওয়া যায়নি। আশুলিয়া থানা পুলিশ তাদের নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তাদের স্বজনরা।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে আশুলিয়া থানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ হলে তারা জানায়, স্বজনদের বিষয়ে তারা কিছু জানেন না। র্যাবের দুইটি দল ও সিআইডির একটি দল এই মামলায় কাজ করছে।